তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আজ জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ক্ষমতাসীন দলটি আদালত দিয়ে (বিরোধীদের ওপর) প্রতিশোধ গ্রহণের রমরমা রাজনৈতিক সফলতায় উল্লসিত।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে কিনা তা নিয়ে জনগণের মনে বড় ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সম্পূরক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। যদিও ১/১১-এর সরকারের সময় চালানো তদন্তে হামলার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে নজিরবিহীনভাবে পছন্দের তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দকে অবসর থেকে ডেকে এনে গ্রেনেড হামলা মামলার পুনঃতদন্তের ভার দেয়। তিনি পুনঃতদন্তের নামে তারেক রহমানকে মামলায় জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের যাত্রা শুরু করেন’, যোগ করেন রিজভী।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জানিয়ে তিনি এ ঘটনারও সমালোচনা করেন।
শুক্রবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদার সাথে সাক্ষাৎ করা স্বজনদের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ‘তার হাত ও পায়ের ব্যথা আরো তীব্র হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতাকে আরো অবনতির দিকে ঠেলে দিতেই দেশনেত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।’
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বাদ দিয়ে বরং ইউনাইটেড হাসপাতালের মতো যেকোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
রিজভীর মতে, খালেদার জিয়ার প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করার মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বিএসএমএমইউতে নেই।
বিএনপি নেতার প্রশ্ন- বিএসএসএমএমইউ যদি এতই বিশেষায়িত ও আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হতো তাহলে রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীরা কেন চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাচ্ছেন।