চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার সংকট চলছে। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্করা ভোটারদের বুঝিয়েও কেন্দ্রে নিতে পারছে না।
অনেক কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে অসংখ্য উৎসুখ মানুষ অবস্থান করলেও ভোট দিতে কেন্দ্রে যাচ্ছেন না।
রবিবার সকালে শুরু হওয়া এই আসনের উপনির্বচন চলাকালে দুপুর পর্যন্ত একটিও ভোট পড়েনি এমন বুথও রয়েছে।
অন্য দিকে ভোটার খরা কাটাতে একটি এলাকার মসজিদের মাইক থেকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাতে শোনা গেছে।
দুপুরে নগরীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ বিদ্যালয় (১১৭ নম্বর মোল্লাপাড়া ভোটকেন্দ্র)। কেন্দ্রটির তিন নম্বর বুথে ৩৯১টি ভোটের মধ্যে একটি ভোটও পড়েনি।
এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ৩৪৬টি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে এ কেন্দ্রের ৬টি বুথে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫০টির মতো।
কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, এক ঘণ্টা ৫০ মিনিটে এ কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে ভোট পড়েছে ১৭টি, দুই নম্বর বুথে ৯টি, তিন নম্বর বুথে একটি ভোটও পড়েনি। চার নম্বর বুথে ১৩টি, পাঁচ নম্বর বুথে ৭টি, ছয় নম্বর বুথে তিনটি করে ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মহিউদ্দিন বাচ্চু
এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পুলক কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম। আশা করছি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
এ কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আনসার উল্লাহ বলেন, তিন নম্বর বুথে ৩৯১ জন নারী ভোটার আছেন। দুপুর পর্যন্ত কোনো ভোট পড়েনি। এ কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট থাকলেও বাকি চার প্রার্থী এ কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়নি।
এদিকে ভোট চলাকালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত নগরীর বাদুরতলা জঙ্গি শাহ মাজার এলাকায় একটি মসজিদের মাইক থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে এলাকাবাসীকে আহ্বান জানাতে শোনা গেছে।
এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
আব্বাস উদ্দিন নামে মহল্লার এক বাসিন্দা বলেন, নির্বাচনের কাজে মসজিদের কোনো কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়। মসজিদের মাইক লাগানো হয়েছে শুধু আজান ও ধর্মীয় কাজের জন্য।
নির্বাচনে নৌকা মার্কার সরকার দলীয় প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, কেন্দ্রে ভোটারদের আনতে তার দলের কর্মী সমর্থকরা কাজ করছেন।
এদিকে সকাল থেকে ভোট চলাকালে দুপুর ২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিপুল সংখ্য র্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলেছ। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী