রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন আর বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন রওশন এরশাদ। এছাড়া রংপুর-৩ আসনে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করবেন পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব।
বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, শনিবার রাতে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে কোন বিভাজন নেই উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, ‘প্রতিটি দলেই কিছু মানুষ থাকে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। ফায়দা লুটতে চায় পার্টির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। প্রতিটি পরিবারেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়, আবার সবাই মিলে তা সমাধানও করা হয়। জাতীয় পার্টিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে।’
তিনি জানান, জাপার চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, জিএম কাদের জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অন্যদিকে রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশাপাশি জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গত সপ্তাহে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের দুজনেই নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলে ঘোষণা দেন।
রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দেবর-ভাবির বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই দুই শীর্ষ নেতাই সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হতে চেয়ে সংসদে স্পিকারের কাছে চিঠি দেন। এরপর ভাঙনের হাত থেকে দলকে রক্ষা করতে শনিবার রাতে জাতীয় পার্টির নেতারা একটি সমঝোতার উদ্যোগ নেন।