জাতীয় পার্টি
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনগণের ভূমিকা চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে তা চূড়ান্তভাবে জনগণই নির্ধারণ করবে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করেছে তাদের জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এক ধরনের প্রতিশোধ হিসেবে কাজ করবে।
‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপিকে কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে? প্রশ্ন তুললেন গয়েশ্বর।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি উভয়েই চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন করুক।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে প্রত্যাখ্যান করা হবে আর কাকে গ্রহণ করা হবে তা জনগণই ঠিক করবে। তাই অবিবেচনাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কল্যাণ বা শান্তি বয়ে আনবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে 'সংস্কার' শব্দটি কলঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ব্যাপক সমর্থন থাকলেও একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে বা বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য, তারা কার্যত নিজেদের নিষিদ্ধ করেছে এবং দেশ থেকে চলে গেছে। এখন তাদের ব্যানার বা স্লোগান দেওয়ার কেউ নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়। ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সেই প্রতিশোধ (আওয়ামী লীগের) নেওয়ার উপায়।
আইন অবমাননার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার পতনের পর তিনি কীভাবে আইন মানবেন? আইনকে ভয় না পেলে তিনি দেশ ছাড়তেন না, তিনি জেলেই থাকতেন।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
২ সপ্তাহ আগে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠি হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের কাছে ফোন আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
৩ সপ্তাহ আগে
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য (এমপি) ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে কাদের খানের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
৯ মাস আগে
‘শরিফার গল্প’ থেকে দুই লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জাতীয় পার্টির চুন্নুর
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরিফার গল্প’ থেকে বিতর্কিত দুইটি লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, ‘ইদানিং পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র একটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অনেক সময় ভুল আলোচনা হচ্ছে, মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এটি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের গল্প শরিফার গল্প।’
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
সংসদে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানোর পর হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ ও হিজড়ার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে চুন্নু বলেন, জন্মগত লিঙ্গ ছাড়া নিজেকে ‘অন্য লিঙ্গের’ ভাবাই ‘হিজড়া’। এটা সম্পূর্ণই উপলব্ধির বিষয়। হিজড়া হলো ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ এবং এটি জন্মগত।
তার দাবি, তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ‘রূপান্তরকামীকে’ অন্তর্ভুক্ত করা এবং পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার ধারণাটি মোটেও ভালো বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘হিজড়া নিয়ে কারো কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
তিনি বলেন, দেশের মুসলমানদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শরিফার গল্পের দুই লাইন- ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সবাই আমাকে ছেলে বলত, কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম আমার শরীর ছেলের মতো কিন্তু মনের দিক থেকে আমি মেয়ে’, তা বাদ দেওয়া উচিত এবং মানুষ আর এতে আপত্তি করবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ২৮৩ জন প্রার্থী দেবে: চুন্নু
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
৯ মাস আগে
জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেগম এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের অনেক অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা দলকে দুর্বল করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে যেভাবে মানুষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো তা খুবই দুঃখজনক।
তিনি অবিলম্বে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
১০ মাস আগে
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে নিজ বাসভবন সেনপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানাভাবে তার জনপ্রিয়তা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।
এখন যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিভাজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
বিরোধী দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বড় দুটি দল। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা (জাতীয় পার্টি) একমাত্র দল যার ১১ জন সদস্য রয়েছে, আমরা আশা করি জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি সেরকম অবস্থান না দেয়, তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা, সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ‘গত সংসদে আমরা বিরোধী দল ছিলাম। আমরা সব সময় দেশের কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি, সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা আগের মতোই কাজ করব।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
১০ মাস আগে
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
১০ মাস আগে
স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনিা বলেন, স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’
তিনি জানান, বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয়।
এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথ নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইন ও বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি ইনশাআল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলব, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারও স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
১০ মাস আগে