‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। যদিও অফিসিয়ালি তারা এখনও কিছু বলেনি’, বলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি এসময় আরও বলেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।
জামায়াত যদি নতুন নামে আসে, তাহলে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন বোতলে পুরাতন মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরাতন আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা।
প্রসঙ্গত, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে জামায়াতে ইসলামি। ৪৭ বছর পর এ নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ও দলের সংস্কার নিয়ে দলটির ভেতরে মতবিরোধ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারবাদী নেতা যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি দিয়ে দলটি থেকে পতদ্যাগ করেন।