বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় চান বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
শুনানি না করে বারবার সময় চাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।
পরে বিকালে আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন।
তখন দুদকের কৌসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপনারা আপিল শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন না, আবার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছেন।’
এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়।
পরে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগামী ৪, ৭ ও ৮ অক্টোবরের মধ্যে আপিলকারী পক্ষকে আপিলের ওপর শুনানি সম্পন্নের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকে পুরানো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
পরে ওই দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১২ মার্চ তাকে এ মামলায় জামিন দেয়। এছাড়া ১২ জুলাই থেকে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।