সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন কালে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার হালট্রি এলাকায় র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০১৩ সালে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত হত্যা ও নাশকতার ওই মামলায় জামায়াত ও শিবিরের ৬১ জন নেতা-কর্মী জয়পুরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে। শুনানি শেষে ওই আদালতের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অধিকতর তদন্তের পর গত ২০ জুন পুলিশ পরিদর্শক কাউছার আলী মোট ৯৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর হরতাল চলাকালে লুটপাট করার উদ্দেশ্যে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পুরানাপৈল বাজারের কৃষি ব্যাংকে পেট্রোল বোমা মেরে হামলা করে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ র্যাব ও বিজিবি’র টহল দল বাধা দিতে গেলে তারা তীর ধনুক নিয়ে র্যাব-পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় পুলিশের পরিদর্শক মমিনুল হক বাদী হয়ে মোট ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ জানান, হত্যা ও নাশকতার মামলায় ৯৯ জন আসামির মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন ৬১ জন। এ মামলার তিনজন আসামি উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন, দু’জন মারা গেছেন এবং বাকি ৩৩ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।