রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ‘জননেত্রী পরিষদের’ সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
তারেক ছাড়াও মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী। মামলার বাদীকে আইনগত সহায়তা করেন আইনজীবী রওশন আরা শিকদার ডেইজী।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, “গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য সকাল ৭টায় রামপুরা থেকে ঢাকা-মাওয়া রোডের প্রচেষ্টা গাড়িতে রওনা হই। পথে তাঁতীবাজার মোড়ে নেমে পায়ে হেঁটে আদালতের দিকে রওনা হই। আমার পেছন থেকে ৪/৫ জন যুবক পাঞ্জাবি ধরে টেনে গতি রোধ করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাকে বলে ‘তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না, কারণ তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস’।’’
“তোর মামলার কারণে আমাদের নেত্রী মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করব। কারণ আমাদের বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন নেতারা হুকুম দিয়েছে ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলাকারী এ বি সিদ্দিকীকে যেখানে পাবি তাকে আটক করে প্রথমে আমাদের সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাধ্য করবি’।”
ওই যুবকরা আরও বলে, ‘‘এক মাসের জন্য তোকে মুক্ত করে দিলাম। যদি স্বেচ্ছায় মামলা তুলে না নিস তাহলে তোকে মরতে হবে। তোকে তোর সরকারও আমাদের হাত থেকে আর বাঁচাতে পারবে না। তোকে নুসরাতের মতো জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারবো। যদি বাঁচতে চাস কথাটি মনে রাখিস।’’