দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল যে তিনি তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন। কিন্তু সাক্ষাৎ কেবলমাত্র শাড়ি আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য দূরে থাক, কোনো হিস্যাই পাওয়া যায়নি।’
তিনি অভিযোগ করেন যে ফেনী নদীর পানি বিনিময় ছাড়াই উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। এসব কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল উষর মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। সেচ মৌসুম চলছে অথচ এখনই নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় সেচের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ‘কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে কোনো আলোচনাই করেননি। প্রায় প্রতিদিন সীমান্ত হত্যা চলছে, এ নিয়েও শেখ হাসিনা মুখ বন্ধ রেখেছেন।’
দেশ মরুভূমি হয়ে যাক, সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশি মানুষ মরুক তাতে শেখ হাসিনার কিছু আসে যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) নিজ দেশের জনগণের ক্ষোভ টের পান না। তিনি শুধু দিতেই জানেন, নিতে জানেন না। তার ক্ষমতার সোনার হরিণটি নিশ্চিত হলেই তিনি সন্তুষ্ট। আওয়ামী লীগের ভাবাদর্শ হচ্ছে নিজ দেশে অত্যাচারী আর অন্য দেশের প্রতি নতজানু থাকা।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচের ঘণ্টা বাজাতে শুক্রবার সকালে সংক্ষিপ্ত সফরে কলকাতা যান শেখ হাসিনা। পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে বৈঠক করেন।
সরকার বিএনপির মুখ ছাড়া দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘তার (কাদের) বক্তব্য একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যখন নিয়ন্ত্রণহীন তখন বাণিজ্যমন্ত্রী পেঁয়াজ নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করছেন।
রিজভী বলেন, জনশ্রুতি আছে যে ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই নাকি বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট চলছে।
পেঁয়াজের যখন ভয়াবহ সংকট চলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যখন নিয়ন্ত্রণহীন তখন বাণিজ্যমন্ত্রীর দেখা মেলে না বলে দাবি করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী করেছে বলে জনগণ মনে করে। আর এ কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।