শনিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জীবিত ছিলেন তখন তাকে ছাড়া আর কারও নাম শোনা যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কেউ কথা বলেননি। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই সেদিন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলাম।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কষ্ট লাগে, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন তারা আজ বঙ্গবন্ধুর নামে মুখে ফেনা তুলেন। আমার কথায় অনেকের গা জ্বালা করবে। এতে কিছু আসে যায় না। আমি আল্লাহ ছাড়া কারও গোলামি করি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় আমরা জিয়া, এরশাদসহ সব সরকারের আমলেই নির্যাতিত হয়েছি। আমরা স্বীকৃতি চাই। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী সহযোদ্ধাদের আর্থিক সচ্ছলতা চাই, বাড়ি চাই।’
তিনি ভোটাধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন আমি অবস্থান ধর্মঘটে ছিলাম তখন অনেক রিকশাওয়ালাও বলেছেন, তারা একবেলা না খেয়ে থাকতে রাজি আছেন তবুও তারা ভোট দিতে চান। তাই আমিও রাজনীতির সুস্থ পরিবেশ চাই। এক দলের মানুষ যাতে অন্য দলের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে এমন পরিবেশ দেখতে চাই।
তিনি আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমাবেশে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।