সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের অবস্থা দেখে আমার হাসিও পায়, আবার করুণাও হয়। তারা বার বার বলে আসছিলেন বৃহত্তর ঐক্য, জাতীয় ঐক্য এবং ফ্রন্টের নাম ঐক্যফ্রন্ট। এখন ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য নেই।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ঐক্য ধরে রাখার জন্য নাকি তারা আজ বৈঠক ডেকেছে। আজকের বৈঠক ডাকার মাধ্যমে তাদের মধ্যে যে ঐক্য নেই সেটি আরও স্পষ্ট করে দেখালেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত’ বলে মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিষ্টাচার আমাদের বিএনপির কাছে শিখতে হবে না। মির্জা ফখরুলকে বলব তার নেতৃত্বকে শিষ্টাচার শেখানোর জন্য। প্রধানমন্ত্রী গিয়ে খালেদা জিয়ার দুয়ারে পনের-বিশ মিনিট দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু গেট খোলা হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং টেলিফোন করেছেন। টেললিফোনে খালেদা জিয়া যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটি সমস্ত শিষ্টাচার বহির্ভূত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব যেকোনো শাস্তিপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি নিশ্চিত করা। তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ও একুশে আগস্ট হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত কারো বিরুদ্ধে দণ্ড দিলে তিনি যদি সরকারি কর্মকর্তাও হন, এমনকি সরকারদলীয় এমপিও হন তার বিরুদ্ধে শাস্তি কার্যকর করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অবশ্যই একদিন তারেকের শাস্তি কার্যকর হবে। সেটাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। এখানে শিস্টাচার বহির্ভূত হওয়ার কিছু হয়নি।’