রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ খুব শিগগিরিই ফিরে পাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য।
বুধবার (৪ জুন) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামি শিগগিরই তার নিবন্ধন ফিরে পাবে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য কমিশনার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দলের নির্বাচনী প্রতীক সম্পর্কে বলতে গিয়ে কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, দলের নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা জামায়াতে ইসলামীর কাছে ফেরত দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত
জামায়াতকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগের পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর জারি করা নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর ৯০এফ (১) (খ) অনুচ্ছেদ বিবেচনায় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত বিধিবিধান ও রায়ে বলা হয়েছে, বরাদ্দকৃত প্রতীকগুলো তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যদি না তারা অন্য কোনো নির্ধারিত প্রতীক পছন্দ করে। এছাড়া আদালতের অন্যান্য নির্দেশনা এবং পর্যবেক্ষণ বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশনার আরও জানান, ‘‘সব কিছু বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীকে তাদের আগের 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মানে হলো তারা তাদের দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাবে।’’
তবে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দিতে কিছু সময় নেবে, কারণ দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জন্য নিবন্ধিত নির্বাচন প্রতীকের সংখ্যা ৬৯ থেকে বৃদ্ধি করে ১০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত ১ জুন আপিল বিভাগ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে দেয়।