সংস্কারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
মঈন আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার করবে, কেউ এর বিরোধিতা করছে না। তবে সমস্যা হচ্ছে, আজ আমি যে সংস্কার বাস্তবায়ন করছি তা আগামীকাল পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন হতে পারে।’
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা সত্যিকার অর্থে কখনো শেষ হয় না। তিনি বলেন, 'এটা বলা অযৌক্তিক যে, আমরা সংস্কার সম্পন্ন করব এবং তারপর নির্বাচন দেব, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দেব। সংস্কার চলছে, এই যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারকে বুঝতে হবে যে সংস্কার একটি চিরস্থায় প্রয়োজন। কারণ সভ্যতা নিজেই ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। ‘সংস্কার শেষ হবে কবে? সংস্কার সম্পন্ন হলেই নির্বাচন হওয়া উচিত, এমন কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী তরুণ ও বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ‘জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব।’
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন ড. মঈন। ‘প্রকৃতপক্ষে জনপ্রতিনিধিরাই সংসদ গঠন করবেন, যে সংসদ সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে শাসন নয়, জনগণের সেবার দায়িত্ব আমরা নেব আমরা।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপি কাগজে-কলমে সংস্কার সমর্থন করে না, বরং এমন সংস্কারের পক্ষে, যাতে সত্যিকার অর্থে জনগণ উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক