তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের নুসরাতের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে আলগা সোহাগ দেখানো। যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করার সংস্কৃতি চালু করেছে, তাদের এ ঘটনা নিয়ে মায়াকান্না করার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।’
দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সবকিছুতে রাজনীতি টেনে আনার চেষ্টা করে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো কারণ নেই। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি টেনে আনার চেষ্টা ঠিক নয়। সব দল নির্বিশেষে এ ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, নুসরাতের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনা পুরো সমাজ এবং দেশকে নাড়া দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি যেন হয়। সে লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে। এ ঘটনায় সরকারি সংস্থার কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির সংসদে যোগ দেয়া উচিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি পত্রিকায় দেখেছি, বিএনপি সংসদে যাওয়ার বিষয়ে বৈঠক করেছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা যদি সংসদে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে পুরো দেশবাসী এটিকে স্বাগত জানাবে। আমরাও স্বাগত জানাবো। আমি মনে করি তারা এখন রাজপথে যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে সংসদে গিয়ে তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।’
মন্ত্রিসভায় কোন রদবদল আসছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’