শনিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন আটক হলেও সত্যিকারের খুনিরা আটক হবে কি না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। তনু ও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মতো এটিও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় তাদের রক্ষায় তৎপরতা চলছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শামীম ও তার সহযোগীরা নুসরাত হত্যায় জড়িত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘কিন্তু পুলিশ এখনো শামীমসহ অন্যদের আটক করতে পারেনি। ধরবে কীভাবে যেখানে কতিপয় পুলিশই সেই অপকর্মে সহযোগিতা করেছে।’
রিজভী আরও অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করতে গিয়ে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন নুসরাত ।
তিনি আরও বলেন, ওসি তার নিজের কক্ষে ঘটনা জানার নাম করে আরেক দফা হয়রানি করেছিলেন মেয়েটিকে। এ সময় অঝোরে কাঁদতে থাকা মেয়েটির ভিডিও চিত্র ধারণ করা হচ্ছিল। এ ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।
কর্তব্য পালনে অবহেলায় ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করা হলেও যৌন হয়রানির অভিযোগ করার সময় ওসির ভিডিও ধারণ করার ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার পর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াও আইনসিদ্ধ নয়, যোগ করেন রিজিভী।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিলে দুষ্কৃতিকারীরা তার গায়ে আগুন দিতে পারত না।
প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের বার্ন ইউনিটে মারা যান।