সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার থেকে চৌমুহনীতে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৬২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
আহতদের নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ও বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আনছারীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে চৌমুহনী পাবলিক হল চত্বরে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সভার শুরুতে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ ও চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের উপস্থিতিতে তাদের সমর্থকরা প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সভার মঞ্চ ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঘটনার জেরে ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং চৌমুহনী-ফেনী-লক্ষ্মীপুর সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সৈকত শাহীন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৬২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে ছোড়া ইটের আঘাতে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরে আলমসহ অন্তত পুলিশের ১৫ সদস্য আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, যোগ করেন সৈকত শাহীন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প থেকে র্যাবের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।