শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের এক সভায় তিনি বলেন, ‘কিছু এলাকায় এখনো আমাদের দলের মাঝে কোন্দল রয়েছে। এসব কোন্দল দূর করতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আগামী নির্বাচন হবে অনেক কঠিন।’
রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণে এই বিশেষ বর্ধিত সভার (তৃতীয় পর্যায়) আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার এবং নৌকার প্রার্থীদের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। ‘যারাই নৌকা প্রতীক পাবেন তাদের জন্য আপনাদের একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে নৌকা প্রতীক নির্বাচনে কোনোভাবেই পরাজিত না হয়।’
প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের নিজ এলাকার মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচার এবং দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে সুরক্ষিত করতে হবে বলেও জানান তিনি। ‘আমরা জোট গঠন করেছি। এই জোটকে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে।’
দলের তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য আপনাদের জনগণকে অনুরোধ জানাতে হবে।
বয়স্ক ও বিধবা ভাতার মতো বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা ভাতা জনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছানোর কাজে সহায়তা করতে ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের নেতাকর্মীদের মৃত্যু সংক্রান্ত শোক সংবাদ উপস্থাপন করেন দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, চার বিভাগের সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সভায় যোগ দেন।