শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষে মোট ১৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে শুধু দুর্নীতিই ছড়ায় না, আইনের প্রতি মানুষকে উদাসীনও করে তোলে। এতে করে দেশের সামগ্রিক আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবহন খাতসহ সব ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের প্রধান কারণ হলো সুশাসনের অভাব। সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে নিরপেক্ষতা ও আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি।
গণফোরাম সভাপতি কামাল বলেন, পুলিশকে অবশ্যই আইনের প্রয়োগ করতে হবে, যাতে করে প্রকৃত লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু পুলিশ যদি কারো দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তারা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আইনের শাসন থেকে দূরে চলে যাবে।
রাস্তায় বের হলে বোঝা যায় কীভাবে বিশৃঙ্খলা ঘটে। এখন আইন মেনে চলা তো দূরের কথা, অমান্য করাটা মহামারি আকার ধারণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, দায়িত্বে অবহেলা করছে, যোগ করেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনা ও ট্রাফিক বিশৃঙ্খলা বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সংগঠিত হয় জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ আহ্বায়ক বলেন, জনগণের মধ্যে আইন অমান্য করার প্রবণতা এবং অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
সরকারকে অবশ্যই বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে জানিয়ে ড. কামাল বলেন, প্রতিবার দুর্ঘটনার পর সরকার বলে- যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু পরে তা নেয়া হয় না। এ কারণে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনা রোধে সব রাজনৈতিক পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন অভিযোগ করে বলেন, নিরাপদ সড়কের ব্যাপারে গত বছরের আন্দোলনের পর সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, সরকার এখনো জনবান্ধব পরিবহন খাত সৃষ্টি করতে পারেনি। সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার আবারও নিরাপদ সড়কের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।