শনিবার দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি এই ঘোষণা দেন। এমনকি নির্বাচনে ‘কারচুপি’র প্রতিবাদে তিনি নিজেও ভোট দেননি।
এদিকে, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিত কম ছিল।
উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব ও জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম।
পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পাবনা-৪ ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া এই দুউপজেলা দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যাওয়ায় পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯৬ সাল থেকে টানা ২৫ বছর আসনটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। অন্যদিকে, দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে আসনটি বারবারই অধরা থেকে গেছে বিএনপির। হাবিবুর রহমান হাবিব টানা দুবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন।