তারা হলেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলী জিন্নাহ (৬০), অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সাত্তার (৬৫), কাঁচামালের ব্যবসায়ী মনসুর রহমান (৫৫) ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাইমা আফরোজ (৬৫)।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান জানান, আলী জিন্নাহ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ (টিএমসি) ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে মারা যান। এর আগে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ৫ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তিনি কোভিড পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
আব্দুস সাত্তার বুধবার সকাল ৮টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান। তিনি গত ১৫ জুলাই এ হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ১৪ জুলাই টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পজেটিভ আসে। তিনি নওগাঁর রানীনগরের কাশিমপুর বড়াইনপাড়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় করোনার উপসর্গে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়াল
মনসুর রহমান শজিমেক হাসপাতালে মারা যান মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে। তিনি নওগাঁর রানীনগরের চাঁপাপুর ধুপকুন্দি গ্রামের বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে ৩০ জুন শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন পরে নমুনা পরীক্ষায় তিনি কোভিড পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে মারা যান নাইমা আফরোজ। তিনি গত ৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১১ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বগুড়ার কাহালুরের বাসিন্দা।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া জেলায় নতুন করে আরও ৮৪ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সরকারি হিসেবে মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ৩১১ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৫ জন মারা গেছেন এবং ২ হাজার ৩৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলে বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডা. ফারজানুল ইসলাম।