মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জনসংহতি সমিতি সংস্কারপন্থী গ্রুপের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা (৬৫), সাধারণ সম্পাদক প্রজিত চাকমা (৬২), ডেভিড মারমা (৫৫), জয় ত্রিপুরা (৪০), দীপেন ত্রিপুরা (৪২) ও মিলন চাকমা (৬০)।
ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নিরু চাকমা (৫০), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৮) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেমানু মারমা (২৬)। আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর বাঘমারা বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাঘমারা ও আশপাশের এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সে প্রু মারমা জানান, ভোরে হঠাৎ করেই বাঘমারা বাজার পাড়ার পশ্চিম দিক থেকে একটি সশস্ত্র গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করে সংস্কারপন্থী গ্রুপের সভাপতির বাসায় অতর্কিত হামলা চালায়। নিহতরা সবাই ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। তবে হামলার পর বেশ কিছু সদস্য পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রতনের বাসায় প্রায় দেড় মাস আগে থেকেই সংস্কারপন্থী দলের কিছু সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। গত মার্চ মাসে তাকে সভাপতি করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বান্দরবানের জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গঠনের পর থেকেই জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের সাথে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
রাজবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু বলেন, ‘আগে থেকেই একটি গ্রুপ বাঘমারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। অন্য গ্রুপের সাথে কর্তৃত্বের দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’