বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পাওয়ার পর দিন বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ব্যাগপত্র নিয়ে দলীয় কার্যালয় ছাড়েন রিজভী। তিনি রাজধানীর আদাবরের বাসায় উঠেছেন।
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান এবং দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার জল্পনার সময়ে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি রিজভী বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেন। তখন থেকে তিনি দলীয় বিভিন্ন বিষয় ও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করে আসছিলেন।
তিনি বিএনপি কার্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি ছোট রুমে থাকতেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একেবারে শুরু থেকেই আমি ৭৮৭ দিন দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাইকারি হারে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেই। কিন্তু ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের চেয়ারপার্সনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন আমি শপথ নেই যে তিনি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে থাকব। এখন তিনি গতকাল মুক্তি পাওয়ায় আমি বাসায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রিজভী জানান, বাসায় ফিরে গেলেও দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তিনি নিয়মিত কার্যালয়ে আসবেন।
খালেদা জিয়াকে বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনা করে বুধবার এক নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সরকার যে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছে তা হলো- তাকে গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একই বছরে তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।