তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১০ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? দেখতে দেখতে ১০ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? ১০ বছরে হয়নি, এক মাসে হবে? মানুষ এখন ইলেকশনের নীড়ে। এখন কেউ আন্দোলন চায় না।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ক্রসিং এসআর স্কয়ার এলাকায় কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের উন্নয়নের বার্তা তৃণমূলে পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে আসা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্ণফুলী-আনোয়ারা আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এসময় ওয়াবায়দুল কাদের বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনকে গুজবের আন্দোলন উল্লেখ্য করে বলেন- গুজব-সন্ত্রাস এখনো আছে। এ সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে। আন্দোলনে জনগণ আর সাড়া দেবে না। বিএনপির একটি কাজ এ চট্টগ্রামে দেখান। যে কাজ দেখিয়ে ভোট চাইতে পারে। ভোট চাওয়ার মতো কোনো কাজ নেই। নোমান সাহেব, আমির খসরু সাহেবের বড় বড় কথা, লাগাম ছাড়া কথা আছে। তাদের কোনো কাজ নেই।
তিনি বলেন-চট্টগ্রামের মানুষ জানে, কর্ণফুলী নাকি বিএনপির ঘাঁটি! সেই ঘাঁটিতে দেখে যান, ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। কর্ণফুলী এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। কর্ণফুলী এখন শেখ হাসিনার সঙ্গে। কর্ণফুলী এখন তরুণ জননেতা জাবেদের সঙ্গে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, একেএম এনামুল হক শামীম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের এ নির্বাচনী বহর চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে। রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত্রী যাপন শেষে দুপুরে প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে বিকালে লোহাগাড়া, চকরিয়ায় পথ সভায় বক্তব্য রাখবেন দলের নেতারা।