বুধবার ধানমণ্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজধানীতে গ্রেপ্তার তিনজনের কথা উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী ও হাওয়া ভবনের এক সাবেক কর্মচারীসহ তিনজনকে নগদ আট কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেকসহ র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া তারেক রহমানের ছবিযুক্ত বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার ও একটি সংসদীয় আসনের ভোটারদের তালিকা উদ্ধার করেছে।’
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের মাধ্যমে দুবাই থেকে হুণ্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা বাংলাদেশে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে ১৫০ কোটি টাকা সারাদেশে বিতরণ করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, এই ঘটনা এটারই ইঙ্গিত দেয় যে, এর পেছনে দেশবিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র এবং পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অপতৎপরতা রয়েছে।
‘প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতেই এ টাকা পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারদের সাথে ড. কামাল হোসেনের আচরণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক দলের কাছ থেকে জাতি এমন উদ্ধত আচরণ আশা করে না।
তিনি বলেন, ‘ইসি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে এবং কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ড. কামাল এবং তার জোট একাধিকবার মারাত্মক ফাউল করলেও নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে অত্যন্ত নমনীয় ভূমিকা পালন করছে।’