বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেছেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার বিদ্যুত খাতে লাগামহীন লুটপাট করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা বলেছে যে তারা দাম সমন্বয় করছে কারণ খাতে কোনও ভর্তুকি দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদ জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইতোমধ্যে লুটপাট ও দুর্নীতি করে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ এখন ধ্বংসের ‘বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের পকেট কেটে তারা বিদ্যুৎ খাত থেকে যে টাকা লুট করেছে তা এখন সমন্বয় করছে।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা যেভাবে আচরণ করছেন তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর, অভিযোগ করেন যে সরকার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে। যেখানে কয়লার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি মেট্রিকটন ২০০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ৪০০ মার্কিন ডলার। এভাবেই বিদ্যুত খাতে লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাটে জড়িত একটি চক্র ছাড়া কেউই এখন নিরাপদ নয়।
‘প্রধানমন্ত্রী ওই চক্রের মূল হোতা এবং তার চারপাশে দুর্নীতিবাজ যারা লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। আমাদের মনে রাখতে হবে হাসিনাকে সরিয়ে সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এদেশে কেউ নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার জনদুর্ভোগ নিয়ে কম চিন্তিত। কারণ, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব নেই।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণ এবং সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া: ফখরুল