এ ভাইরাসের কারণে মহান মে দিবসের ভিন্ন প্রেক্ষাপটেও সমাজের পিছিয়ে পড়া মুটে-মজুরের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানে পিছিয়ে নেই তিনি।
শুক্রবার সকালে বোয়ালমারী পৌরসদরের কামারগ্রাম, গুনবহা, সোতাশীসহ কয়েকটি গ্রামে কর্মহীন হয়ে পড়াদের প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল ও আলু দেন তিনি।
এভাবেই বোয়ালমারীর পৌর সদরসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে ছুটে প্রতিনিয়ত খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলছেন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
মুশা মিয়ার এ উদ্যোগকে মানবিকার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশীদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্ষুদ্র চা দোকানদার, মুচি, ধোপাকার, নরসুন্দরসহ সমাজের ভাসমান জনগোষ্ঠীর মাঝে তিনি এসব খাদ্য সহায়তা পোঁছে দিচ্ছেন। গত একমাস দরে প্রতিদিনই নিরলসভাবে বোয়ালমারী পৌর সদর ছাড়াও ১০টি ইউনিয়নে গিয়ে গিয়ে প্রায় একহাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
নিজের জনপ্রিয়তাকে ধরে রেখে ধারাবাহিক ভাবে তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় এক যুগ ধরে। এছাড়াও তিনি নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টাও।
এ ব্যাপারে মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, ‘সমাজের একেবারেই নিম্নশ্রেণির ভাসমান মানুষগুলো সবসময়ই বঞ্চিত থেকে যায়। এ দুর্যোগে তাদের যেন না খেয়ে কষ্ট করতে না হয় সেজন্যই আমার এ প্রয়াস। সমাজের বিত্তবানরা সকলে যদি এগিয়ে আসেন তাহলে এ সংকটে তারা অভুক্ত থাকবে না।’