বুধবার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নান তিনটি পৃথক দুর্নীতি মামলায় আউয়াল ও তার স্ত্রী লিলি পারভীনের জামিন আবেদন নাকচ করার চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন অভিযুক্তদের রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে একেএমএ আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, দুদকের মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নানকে মন্ত্রী রেজাউল প্রভাবিত করেন।
তিনি প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে তার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন বলে অভিযোগ করেন আউয়াল।
তিনি বলেন, মন্ত্রী রেজাউল তার ভাইদের অনৈতিকভাবে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করে কয়েক শ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি উপহার নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে মাত্র নয় বছর বয়স থাকা রেজাউল করিম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার বিষয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন আউয়াল।
তবে রেজাউল করিম দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।