জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আব্দুল আলীশ খান ওয়ারেশী, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকী।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। বেঁচে থাকলে আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন খুব আনন্দের সাথে সমগ্র বাংলাদেশে পালিত হতো। কিন্তু খুনিরা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে।’
‘শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতেন। বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে পারতেন,’ বলেন তিনি।
‘আজ জন্মদিন উৎসবের নয়, বেদনাদায়ক চিত্তে শেখ রাসেলকে জানার দিন’ উল্লেখ করে তিনি ছোট্ট রাসেলেকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘শেখ রাসেল জাতির পিতাকে খুব বেশি কাছে পাননি কিন্তু তিনি জাতির পিতাকে খুবই অনুসরণ করতেন। শিশু বয়সেই মুজিব কোর্ট, প্রিন্স স্যুট পড়তেন এবং জাতির পিতার মতো উন্মুক্ত চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মোশতাক, জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনের মদদদাতা। মারা যাওয়ায় তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজাকার, আলবদরদের পুনর্বাসন করেছেন। ১৫ আগস্ট ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরোধী।’