জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পিছনে যারা ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে কমিশণ গঠন করবো। আমরা জানতে চাই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারা ছিল।’
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমনের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে এ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি কমিশন গঠনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলার পরই এমন ঘোষণা দিলেন বিএনপি।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানুষের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তাদের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের কার্যালয় ও কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দলের ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছে।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৃহস্পতিবার আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা হত্যাকারীর দ্রুত বিচার চাই।’
তিনি সরকারকে সতর্ক করেন যে হত্যা, গুম, দমন পীড়ন ও হামলা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না
ফখরু দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দুপুর ১২টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার মাগরিফরাত কামনায় দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আত্মনির্ভশীল বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭৮ সালের ১ সে্প্টেম্বর ১৯ দফার ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী দলের নেতৃত্বে আসেন।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
জিয়া জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে
দেশের প্রথম স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ৩০ মে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছে 'রাজনীতির সাতকাহন'অনুষ্ঠানের বক্তারা।
আইয়ুব খানের মত করেই জোর করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছেন বলে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামস রহমান বলেন, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান যেভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে জিয়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেই এসেছেন। উনি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান এবং জরুরি অবস্থায় সামরিক সরকারেরও প্রধান। আপনারা যদি দেখেন একইভাবে ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান ছিলেন সেনা বাহিনীর প্রধান এবং সামরিক সরকারের প্রধান। দুইজনই 'হ্যাঁ'/'না' ভোটের আয়োজন করেন এবং সেখানে ভোটের ব্যালট পেপারে নিজেদের 'গ্লোরিফাই' করেছেন। পার্থক্য ছিলো একটাই, আইয়ুব খান ইংরেজিতে ব্যালট পেপারে নিজের পক্ষে লিখেছিলেন আর জিয়া লিখেছিলেন বাংলায়।
লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত বলেন, ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে বিচারপতি আবু সায়েমের কাছ থেকে জিয়া জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন বঙ্গবন্ধুর গায়েবি জানাজা আমরা পড়েছি। সেই সংবাদও কোন পত্র-পত্রিকায় ছাপাতে দেয়া হয় নাই। আর জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর পত্রপত্রিকা-রাস্তাঘাট সবখানে শূন্যতা, শুধু জেলখানাগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীতে পূর্ণ। এর পর প্রহসনের গণভোট এবং এই স্বৈরশাসনের ধারাবাহিকতা আমরা এরশাদের আমলেও দেখেছি।
আরও পড়ুন: জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলের সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৭৫ সালের পর সকল রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। শুধুমাত্র যারা জিয়াকে তোষামোদ করে চলতো, ফুলের তোরা নিয়ে যেতো, তাদের খবরই বেশি দেখা যেতো। আমরা একটা পর্যায়ে আটক হই এবং জেলে থাকি।
জিয়ার ভোট কারচুপির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল অল্প কিছুদিনের জন্য রাজনৈতিক কার্যক্রম উন্মুক্ত করা হয়। এই অল্প সময় নেতাকর্মীরা প্রচণ্ডভাবে চেষ্টা করেন জেনারেল ওসমানীর জন্য। কিন্তু ভোটের ফলে জেনারেল ওসমানী পান শূন্য ভোট। তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে, জেনারেল ওসমানীর পোলিং এজেন্টরাও তাকে ভোট দেয়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কোন পোলিং এজেন্টকে ঢুকতেই দেয়া হয়নি ভোট কেন্দ্রে। তাদের মত করে সিল মেরে ভোটের বাক্স নিয়ে যায় তারা। তখনতো এখনকার সময়ের মতো এত ভিডিও ছিল না। থাকলে বিষয়টি আরও ভালো করে দেখানো যেতো।'
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে সোমবার (৩০ মে) দলীয় অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মেগা প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করছে: কাদের
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ দেশব্যাপী ১০ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
আজ (রবিবার) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ৭ জুন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন।
দিবসটি পালনে সোমবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দল ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ জুন পর্যন্ত জিয়ার কর্মজীবন নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির নেতারা রাজধানীর বিভিন্নস্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন।
দলের সকল জেলা, মহানগর ও থানা শাখাও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অংশগ্রহণে আলোচনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকার চাকুরে ছিলেন জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের চাকুরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা বিভাগের এক প্রকাশনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকারের যারা শপথ নেবেন তারা এক জায়গা থেকে আর দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাব মধ্যরাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তাদের কাউকে বলা হয়নি কোথায় যাবে। বলা হয়েছিলো কয়েক ঘণ্টার ড্রাইভ হবে এরপর একটি জায়গায় যাবে। তখন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকানন, যেটিকে পরে মুজিবনগর নাম দেয়া হয়েছিল। সেখানে শপথগ্রহন অনুষ্ঠানটি হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, সে সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন বিধায় তিনি শপথ নিতে পারেন নি। তার নেতৃত্বেই সরকার গঠন হয়েছিল। এই সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। যেটিকে আমরা মুজিবনগর সরকার বলি এটিই বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এই মুজিবনগর সরকারের অধীনেই একজন চাকুরে ছিলেন। তিনি ৪০০ টাকা বেতন পেতেন। অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররাও ৪০০ টাকা করে বেতন পেতেন। এই সরকারের অধীনেই পরবর্তীতে নানা দপ্তরে আরও নিয়োগ দেয়া হয়। তারাও কিন্তু বেতন পেতেন। জিয়াউর রহমানসহ অন্যরা কিন্তু বিনা বেতনে যুদ্ধ করেনি।
জিয়াউর রহমান অবশ্য যুদ্ধ করেছে কিনা সেটা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে, নাকি পাকিস্তানিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে, সেটি দলিল দস্তাবেজ বলে প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি মুজিবনগর দিবস পালন করে না। অথচ জিয়াউর রহমান এই সরকারের চাকুরে ছিলেন। তারা যে মুজিবনগর দিবস পালন করে না, এটি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অস্বীকার করা, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামকে অস্বীকার করার সামিল।
পড়ুন: বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষাই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: তথ্যমন্ত্রী
জেএমবির খুলনা বিভাগীয় প্রধানের ২০ বছরের কারাদণ্ড
বিস্ফোরক মামলায় জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর খুলনা বিভাগীয় প্রধান জিয়াউর রহমানকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান ওরফে সাগর ওরফে সাব্বির নাটোর জেলার বাঘাতিপাড়া উপজেলার মাইরখোলা এলাকার গেদু মোলা ওরফে গেদু মিস্ত্রির ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সিরিজ বোমা হামলায় জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে মিয়াপাড়া থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন জিয়াউর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করে। এরপর তার দেখানো স্থান থেকে র্যাব দৌলতপুর থানাধীন রৈবরাগীপাড়া যশোর ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের ডিএডি ইউনুছ আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দৌলতপুর থানার এসআই জাহেদুল হক সরকার তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
পড়ুন: ময়মনসিংহে ‘জেএমবি’র চার সদস্য গ্রেপ্তার: অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার
জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অসুস্থ নেতাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি সকালে নয়াপল্টনে প্রধান কার্যালয়সহ দলের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: সমাবেশের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করবে বিএনপি
এছাড়া সকাল ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জিয়ার স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
এছাড়া একই দিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
একই স্থানে ২০ জানুয়ারি বিএনপি বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশের উদ্যোগও নিয়েছে দলটি।
এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোও জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
দলটির মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখাগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্ম নেয়া জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে হত্যা করেন।
খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
খালেদা জিয়া ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন জানিয়ে তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে নিতে লোক পাঠিয়ে ছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য ক্যান্টনমেন্টে থেকে যান।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা জনতা সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দের সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট ৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, ছাতক উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার তোতা মিয়া।
এসময় সমাবেশে আগত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রেশন, বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ স্মার্ট কার্ড প্রদানের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
রবিবার ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করবে বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৯৭৫ সালের ‘সামরিক অভুত্থানের’ স্মরণে রবিবার ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করবে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে রাজনৈতিক গোলযোগের সময় সিপাহী-জনতা এক হয়ে তৎকালীন বন্দি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে, যার ফলে তার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ তৈরি হয়।
বিএনপি এই দিবসটিকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিবসটি সফলভাবে আয়োজনে করণীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্য মঞ্চে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল দলটি।
আরও পড়ুন:দেশের মানুষ না খেয়ে থাকার অবস্থায় পৌঁছেছে: বিএনপি
কর্মসূচির অংশ হিসাবে রবিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেই সাথে সকাল ১১টায় নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এছাড়া, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মতো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীরা ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে বিবেচনা করে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা’ দিবস হিসেবে। আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দিনটি সিপাহী-জনতার বিপ্লব হিসেবে পালন করে।
আরও পড়ুন:শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
জিয়া নিজেও কোনদিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি: দীপু মনি
জীবিত থাকা অবস্থায় জিয়া নিজেও কোনদিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এটাও সত্য যে জিয়াউর রহমান যখন চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন, তাকে অনেক দূরে নিয়ে গণকবর দেয়া হয়েছিল এবং সেটা কোথায় তেমন কেউ জানতেন না। তারপর যখন এখানে কফিন নিয়ে আসা হয় এবং সেই কফিনে কে ছিলেন, তাঁর স্ত্রী, সন্তান কিংবা দলের কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি। কাজেই এই বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, ইতিহাসের সত্য কোন না কোনদিন উদঘাটিত হবেই। এই আলোচনা হয়তো আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ব্যক্তিকে নিয়ে মিথ্যাচার করে স্বাধীনতার ঘোষক সাজাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। যিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কখনো নিজে তা দাবি করেননি। কারণ তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। একইভাবে বিএনপি-জামাত এই মিথ্যাচার সারাজীবন করেছে, কারণ তাদের জন্য একটি কবর বিশাল কিছু। তাই এটিকে প্রতীক বানিয়ে ফেলার অপচেষ্টায় তারা অনেক কিছুই করেছে। সত্য উদঘাটিত হওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক নেতা যে কথাগুলো বলেছেন, আমি তাদের সাথে একমত।
আরও পড়ুন: বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারিসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী বিকেলে সাড়ে ৫টায় চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের নদীর তীর ও মোলহেড এলাকা ঘুরে দেখেন এবং এ সময় তিনি বড় স্টেশন এলাকায় ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র ও এর প্রধান প্রবেশ গেট উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জিয়ার কবর সরালে পরিণতি হবে ভয়াবহ: বিএনপি