তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় কারামুক্ত করার বিষয়টি আমাদের ভুলে যেতে হবে...তাকে মুক্ত করার এখন একমাত্র উপায় রাজপথে আন্দোলন।’
বুধবার এক মানববন্ধনে বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ‘নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার জন্য আমরা প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এসব কর্মসূচির সাথে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জড়িত।’
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য তিনি সব গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে এক হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানবন্ধনের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে করাগারে যাওয়ার পর আইনি লড়াইয়ে সাত দিনের মধ্যে মুক্তি দেয়া উচিত ছিল। ‘কিন্তু আমরা গত সাত মাসেও তাকে মুক্ত করতে পারিনি, কারণ এখন নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’
বিএনপির আইনজীবীরা দলের প্রধানকে মুক্ত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং সব আইনি দিক দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারপরও নিম্ন আদালতের ওপর সরকারের প্রভাব থাকায় আমরা সফল হতে পারিনি।’
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির এ নেতা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আয়োজন করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য অন্য বিরোধীদলগুলোকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রতি জোর দেন।
‘জাতীয় ঐক্য গঠন ছাড়া জনগণের আর কোনো বিকল্প নেই। এখন জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সফল আন্দোলনের ওপর দেশের ১৬ কোটি মানুষের মুক্তি নির্ভর করছে,’ যোগ করেন তিনি।
মওদুদ জানান, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য তারা ঐক্যের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে তাদের আন্দোলনে যুক্ত করবেন।