তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মানবে না এবং সরকার সরে না আসলে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল, পাট খাতের অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি পুনর্স্থাপন করে রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ চালু করার দাবিতে সংগঠনটির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট জান্নাতুল মারিয়ম তানিয়া ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আলিফ দেওয়ান বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সাকি বলেন, ‘এই করোনাকালে রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা এবং লক্ষাধিক মানুষকে নতুন করে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দেয়া এ সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘৮ থেকে ১০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারানোর শংকায় আছেন। প্রায় ৩ কোটি লোক নতুন করে দারিদ্রসীমায় নেমে এসেছে। এসময় পাটকল শ্রমিক ও ওই অঞ্চলের মানুষদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়া কোনোভাবেই বরদাসত করা যায় না।’
২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে আদমজী জুটমিলে একই ঘটনা ঘটেছিল এবং কারখানা বন্ধ করতে তৎকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের পরামার্শে ১৩শ কোটি টাকা খরচ করেছিল উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত ২৬টি পাটকল আধুনিকায়নে ১২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। টাকা না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ‘লোকসানের প্রধান কারণ দুর্নীতি, কারখানাগুলো আধুনিকায়ন না করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি না হওয়া। সেটার সমাধান না করে কারখানা বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। দুর্নীতির দোহাই দিয়ে সব দায় শ্রমিকের ওপর চাপানো চলবে না।’
সমাবেশে বক্তারা পাট শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।