গণসংহতি আন্দোলন
গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘যুগপযোগী’ আন্দোলনে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল জনগণ ও রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনকে উৎখাত করে জনগণের সত্যিকারের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও একমত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি আমাদের দমন করতে পারবে না: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে দেশে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
তিনি বলেন, উভয় দল বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন পরিচালনার পর নিরপেক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন ইত্যাদি ব্যাপারেও একমত হয়েছেন।
জোনায়েদ সাকির অনুসরণে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে দেশের রাজনীতিতে কিছু মৌলিক বিষয় আসা দরকার। জোনায়েদ সাকি এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন এবং সংবিধানের সংশোধন প্রয়োজন। আমি আশা করি আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জাতীয় সরকারের ফর্মুলার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন করা হবে। যারা নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে জয়ী হবে।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
তিনি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে তাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে এবং অন্যান্য দলের সঙ্গেও এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়াকে আমরা খুব দ্রুত শেষ করে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব এবং কার্যকর বিরোধী শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে পারব। জনগণের সংসদ ও সরকার গঠনে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং ৩৫ লাখ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অন্য সব রাজনৈতিক দলও তাদের দলের দাবির সঙ্গে একমত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাতিরপুলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে যোগ দেন।
সাত দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম 'গণতন্ত্র মঞ্চ' গঠন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই বিএনপি তাদের অন্যতম সম্ভাব্য গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।
২৪মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে।
তিন দিন পর দলটি ২০ দলীয় জোটের অন্যতম অংশ লেবার পার্টির সঙ্গেও সংলাপ করে বিএনপি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
২ বছর আগে
মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বুধবার মাওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। ‘মজলুম জননেতা’ (দরিদ্রদের নেতা) নামে পরিচিত এই জনপ্রিয় নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। যেখানে এই মহান নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ভাসানীকন্যার অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), গণসংহতি আন্দোলন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মহান নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করবেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টাঙ্গাইলে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এ উপলক্ষে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মাওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এদিকে ভাসানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গঙ্গা নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেছিলেন।
৩ বছর আগে
ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান ড. কামালের
দেশ ‘পুরোপুরি স্বৈরতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সরকার উৎখাত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্ছিত। বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের কোনো ভরসা নেই। তারা (সরকার) জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশে এখন পুরো স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট এই রাজনীতিক বলেন, দেশকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ থেকে রক্ষা করতে জনগণের ঐক্য এখন অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জনগণ আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। রাজনৈতিন দলগুলো তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে জনগণ রাজপথে নেমে আসবে। রাজপথের সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের জনগণ দেশের মালিকানা ফেরত পাবে।’
বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই বলেও দাবি করেন ড. কামাল।
এদিকে এ অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করতে আমাদের সব জায়গায় জাগ্রত করতে হবে। আমাদের এই সরকারকে উচ্ছেদ করতেই হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাত নিশ্চিত করতে রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলনের বিকল্প নেই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা পরিবর্তন আনতে আন্দোলনই আমাদের একমাত্র পথ। আমি বিশ্বাস করি, এখানে যে সকল জাতীয় নেতা আছেন তারা একসঙ্গে রাজপথ দখল নিলে একটা পরিবর্তন আসবে।’
পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
৩ বছর আগে
রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল ও লুট করে বিদেশে পাচার মানবে না পাটকলের শ্রমিকরা: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বুধবার বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে, লুট করে নিজেদের পকেটে ভরা, বিদেশে পাচার করার যে আয়োজন তা পাটকলের শ্রমিকরা মানবে না।
৪ বছর আগে