রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক।
গত ২০ জুন বগুড়া সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
হাইকোর্টের জামিন আবেদনে তিনি দাবি করেন, তিনি নির্দোষ, বয়স ৮০ বৎসর, এছাড়া হৃদরোগ, পাইলস, স্পাইনাল কর্ড, কিডনি, লিভারসহ নানারোগে আক্রান্ত, জেল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আদমদীঘী উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) একটি ক্রয়কেন্দ্রসহ ২ একর ৩৮ শতক জমি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিনা টেন্ডারে বগুড়ার জাহানারা রশিদকে লিজ দেন তৎকালীন পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী।
এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
পরে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদকের বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর আদমদীঘী থানায় মামলা করেন।