তিনি বলেন, ‘সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরও প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদেরকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
শাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।’
একইসাথে তার এই হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়ায় সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট প্রদান এবং রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগে হাসপাতালের উত্তরা এবং মিরপুর শাখায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকালে রিজেন্টের প্রধান শাখা এবং হাসপাতালের উত্তরা শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এছাড়া ওইদিন রাতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট প্রদানে জড়িত থাকার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র্যাব। এছাড়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট প্রদান এবং রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগে উত্তরায় রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এবং হাসপাতাল সিলগালা করে দেয় র্যাব।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট প্রদানে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের সাত কর্মচারীকে বুধবার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গাজী তাদের আদালতে হাজির করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহসান চৌধুরীর ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের এডমিন অফিসার মো. আহসান হাবীব, এক্সরে টেকনিশিয়ান মো. আহসান হাবীব হাসান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট প্রধান কার্যালয়ের প্রজেক্ট এডমিন রাকিবুল ইসলাম সুমন, প্রধান কার্যালয়ের এইচআর এডমিন অমিত বনিক, প্রধান কার্যালয়ের ড্রাইভার আব্দুস সালাম এবং প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ খান।
এদিকে ১৭ বছর বয়সী একজনকে টঙ্গীর সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।