২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, 'ভুয়া ও সাজানো নির্বাচনের জন্য যে প্রহসন করা হচ্ছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। জনগণের সঙ্গে আমরাও এই একদলীয় সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’
আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরে ৪ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনে দিয়ে নয়, বুলেট ও রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বুলেট, পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার ছাড়াই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। আমরা জনগণের শক্তিতে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এটা করব।’
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে ইতোমধ্যে সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। এমনকি নিজেদের জোট ও পোষা বিরোধী দলের প্রার্থীরাও এই নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার দরকার নেই।’
ড. মঈন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে কারা এমপি হবেন তা নির্ধারণ করে নির্বাচন করেছে।
‘সুতরাং এটি একটি ভুয়া নির্বাচন। কোনো জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য হবেন না কারণ এটি মনোনয়নের নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করবে।’ ৭ জানুয়ারির ভোট এখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ‘তারা এখন ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে কবর দিতে চায়।’
আজ রাজধানীর কাফরুল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার সরকারের স্বপ্ন এবার বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি বলেন, 'দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের নেতারাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি