জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তাদের দলে কোনো বিভাজন নেই এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে রংপুর-৩ উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে।
‘সংসদের পরবর্তী অধিবেশনের আগেই বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন করা হবে,’ বলেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় শুরু হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই মারা যাওয়ার পর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ শূন্য হয়ে পড়ে।
এ বছরের ১০ জানুয়ারি, এরশাদ এবং তার ভাই জিএম কাদের একাদশ সংসদে যথাক্রমে বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান।
২৩ মার্চ একটি নাটকীয় পদক্ষেপে এরশাদ বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে জিএম কাদেরকে অপসারণ করেন এবং তার স্থলে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পান জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। রওশন দশম সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।
জাতীয় পার্টি মহাজোটের মূল অংশীদার হিসাবে একাদশ নির্বাচনে অংশ নেয় এবং ২২টি আসন লাভ করে। নির্বাচনের পরে দলটি সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যরা বিরোধী নেতা নির্বাচন করার বিষয়ে দুটি দলে বিভক্ত।
রওশনের অনুগত কিছু নেতা তাকে বিরোধী নেতার ভূমিকায় দেখতে চান। অন্যরা দলের প্রধান হিসেবে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে চান।
দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শিগগিরই তাদের দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিরোধী দলীয় নেতা চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এরশাদের রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রেও জাতীয় পার্টি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, রওশন তার পুত্র রাহগীর আল মাহি ওরফে সাদ এরশাদকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন এবং জিএম কাদের তার ভাতিজা এবং এক ভাগ্নীও মনোনয়ন চাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন।
কাদের আজ জানিয়েছেন, তাদের দল সর্বসম্মতিক্রমে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করবে।
তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করবে এবং কেউ যদি দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রংপুর-৩ আসনকে তাদের দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করে কাদের আশা প্রকাশ করেন যে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।