তিনি বলেন, ‘আমাদের ছয়জনের সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন না।’
তিনি আবারও বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) সঙ্গে বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এখান থেকে ফিরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
‘আজকে এখানেই এ বিষয়টার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। এটা অপ্রয়োজনীয় (সংসদে যোগ দেয়া)’, যোগ করেন তিনি।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রচিত বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘খালেদা জিয়া: তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শিরোনামে ৮৬০ পৃষ্ঠার বইটির প্রকাশনী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংসদে যোগ না দেয়ার ব্যাপারে মওদুদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচিত ছয়জনের একজন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল কিছু বলেননি।
নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের আচরণ তুলে ধরে নিজেদের সংসদ সদস্যদের সংসদে যোগ না দেয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের স্বভাব জানি। ২০০৯ সালে আমরা ২৭টি আসন পাওয়ায় তারা আমাদের যথাযথ মর্যাদা ও সামনের আসনে নয়টি আসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংসদে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।’
২০০৯ সালের স্মৃতিচারণ করে মওদুদ আরও বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে যোগ দিয়েছিল। সংসদে যোগ দেয়ার প্রথম দিনই স্পিকার বলেছিলেন, সামনের সারিতে ৩-৪টির বেশি আসন দেয়া সম্ভব নয়। তাই এ সংকীর্ণমনা দলের কাছ থেকে কোনো রকম সহনশীলতা, কোনো রকম রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার আামাদের প্রত্যাশা করা উচিত নয়।