স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসকের পতনের পর জাতি-ধর্ম-রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। একনায়কতান্ত্রিক ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং নিষিদ্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ রাতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগাম শুভেচ্ছা জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
তিনি নতুন সরকারের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করেন।
এলডিপি সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার ও আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীসহ অপহরণ, নিহত ও জোরপূর্বক গুমের ব্যক্তিদের তালিকা অবশ্যই প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।’
অলি আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালের পর যারা অবৈধভাবে ও অযৌক্তিকভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের নাম বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো আসামি যেন পালাতে না পারে কিংবা স্থল, নৌ ও আকাশপথে কোনো অপরাধীও যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে যুক্ত সব অভিযুক্ত ও পলাতককে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে তাদের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাতে হবে।
এলডিপি সভাপতি বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলেই শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সুস্পষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে এবং কমপক্ষে পরবর্তী চারটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় করতে হবে।
সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ) শীর্ষ নির্বাহী পদে থাকতে পারবেন না।