দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনী এলাকা থেকে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা গাজীপুরেও খুলনার মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়।’
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) অলস বসে থাকলেও আওয়ামী লীগ ভোট জালিয়াতি, সন্ত্রাসবাদ ও ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে গাজীপুরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে ক্ষমতাসীন দল এখন পুলিশ দিয়ে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, তাদের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাজহারুল আলম এবং মীর হালিমুজ্জামানসহ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও ভয় দেখায়।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, দেশজুড়ে বিরোধী দল নিধনের কর্মসূচি থামছে না। গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ চলছে।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দুমড়ে মুচড়ে ফেলার জন্য সরকারের পরিকল্পনা ও নীলনকশা যেন অব্যাহত আছে। তবে সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ ‘স্বৈরাচার’ সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে উদ্দীপ্ত বদ্ধ পরিকর। সরকারের মদগর্বী আস্ফালন উপেক্ষা করেই জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে।