সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ২০ দলীয় ঐক্যজোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমেদ বলেন, ‘জাতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। ১৯৭১ সালের পর আমি প্রতিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজমান এই পরিস্থিতি স্বাধীন বাংলাদেশে কখনও ছিল না, পাকিস্তান আমলেও ছিল না। বর্তমান সময়ের সাথে তুলনা করা যায় জার্মানির হিটলারের সময়ের সাথে। পুলিশ কর্মকর্তারাও ভয়ে আছেন।’
বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জামিন নেয়ার সময় হলে আরেকটি মামলা দিয়ে দিচ্ছে। যারা এসব মামলা দিচ্ছেন তাদের বলব, আপনারা কি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করেন না? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এই দেশে স্বাধীনভাবে থাকার জন্য। আজ মনে হচ্ছে আমরা নিজ দেশে পরাধীন। আমাদের কোনো বক্তব্য নেই, আমাদের কোনো ন্যায় বিচার নেই, জামিন বাতিল করা হচ্ছে।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের শত্রু না, সরকারের বন্ধুও না। আপনারা হলেন জনগণের বন্ধু। সেই হিসেবে কাজ করবেন। সবাই যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করুন। ঘরে ঘরে গিয়ে ভয় দেখানো, মিথ্যা মামলা দেয়া পুলিশের কাজ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপনার দায়িত্ব রয়েছে এই দেশের প্রতি। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন। একটা না একটা সময় বিদায় নিতে হবে। সে বিদায়টা যেন সম্মানজনক হয় এটাই আমাদের কাম্য।’
দেশের জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য, নিজের ভোট প্রয়োগ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। জনগণের শক্তি হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সজাগ হতে হবে। তাহলে এ জাতি মুক্তি পাবে, অন্যথায় গভীর সংকটের দিকে দেশ নিমজ্জিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে সাত দফা দাবি করেছি তার একটিও পূরণ হয়নি। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সন্দিহান। এরপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, যাতে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। কিন্তু প্রতিটি এলাকায় এখনও পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বহু নেতা-কর্মীকে। এর মানে সরকার চাইছে জনগণকে বাইরে রেখে আরও একটি নীলনকশার নির্বাচন।’
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘জনগণ এখন ভোট দিতে বদ্ধপরিকর। তারা বলছে এবার কোনো শক্তি তাদের থামাতে পারবে না। কিন্তু সরকার জনগণের ভয়ে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। বিএনপি প্রার্থীদের ঘরে ঘরে গিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছপা হব না।’