রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলার সেনবাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তার ছেলে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন রাসেল এবং উপজেলার শাহ আলম চৌধুরীর ছেলে ফুটন চৌধুরী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মাসুদুর রহমান জানান, আবুল কালাম আজাদের নাকে ও মুখে ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি) বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুকের দাবি, সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তিনি উপজেলা সদরে ফুল দিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সেনবাগ বাজারের কাছে রাস্তার উপরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ তিনজন আহত হন। এছাড়া তারা বিএনপির নির্বাচনী অফিস ও গাড়ি ভাঙচুর এবং পোস্টারে অগ্নি সংযোগ করে।
সেনবাগ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান চৌধুরীর ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির কোনো হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুকের এক সময়ের ঘনিষ্ট সহচর তারই চাচাতো ভাই একই আসনের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল্যাহ আল মামুনের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে বেশ কিছুদিন থেকে। তার ধারণা মামুনের সমর্থকরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও শান্তিতে বিশ্বাসী। এটি বিএনপির অপপ্রচার।
সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সেনবাগ বাজারে ধানের শীষ ও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপির নির্বাচনী অফিস বা গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান তিনি।