দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক নয়, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ হবে এবার। কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। কৃষকরা ঈদের মেজাজে নেই, কারণ তারা উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত। অনেক স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষক এখনো বেতন ও বোনাস না পেয়ে খুশিতে নেই।’
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় দেশের মার্কেটগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা যাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার। তাদের কোনো কাজ নেই, আয়ও নেই। বিএনপিসহ বিরোধী দলের ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। তারা বাড়িছাড়া, ঘরছাড়া অথবা কারাগারে। তাদের ঘরেও ঈদ আনন্দ নেই। ‘তাই স্বস্তির ঈদ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চরম মিথ্যাচার, অনুশোচনাহীন ও নির্যাতিত মানুষদের প্রতি ইতিহাসের সেরা তামাশা।’
র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ৩০০ জন পলাতক রয়েছেন। তাছাড়া, ২০১৬ সালের ওই হামলার পর গ্রেপ্তার ৫১২ জঙ্গির মধ্যে ৩০০ জামিনে রয়েছেন। আর জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশ এখন পলাতক।’
রিজিভী আরও বলেন, র্যাব মহাপরিচালকের বক্তব্য শুনে সারা জাতি বিস্মিত ও স্তম্ভিত। নিম্ন আদালত সম্পূর্ণরূপে সরকারের করায়ত্তে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, বরেণ্য আইনজীবী কেউই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান না। তাহলে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিম্ন আদালত থেকে কীভাবে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে?
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার জঙ্গি দমনের নামে যা করছে তা পরিকল্পিত নাটক কি না তা নিয়ে জনমনে দীর্ঘদিন থেকে সংশয় রয়েছে। র্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যে সেই সংশয় আরও গভীর থেকে গভীরতর হলো।