আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তার জামিন নাকোচ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ড. বশির উল্লাহ বলেন, ‘তিনি জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তাকে জামিন দেননি। তবে কেন তাকে জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।’
এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধরের ঘটনায় হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন নামঞ্জুর
পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো হাজি সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা তাদের অনুসরণ করে আরও কিছু দূর গিয়ে গাড়িটি থামান এবং নিজের পরিচয় দেন।
এ সময় হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘটনার সময় হাজি সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদ আবারও রিমান্ডে
ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে আরও ৪ মামলা
ঘটনার পরের দিন গত ২৬ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। ওইদিন র্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে আটক করে। পরে বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট আরও চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব।