মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
রিজভী বলেন, দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
একই দিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলের নেতাকর্মীরা। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
রিজভী বলেন, জাতি এমন একটি সময়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে
তিনি বলেন, 'এদেশের ভোটাররা এখন ভোট দিতে পারছে না এবং এদেশের মানুষ নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারছে না। অসংখ্য জাতীয়তাবাদী শক্তির অসংখ্য নেতা-কর্মী তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বা বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে থাকতে পারছেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন, এমনকি রিকশা চালিয় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এমতাবস্থায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের মানুষকে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। ‘দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এবং আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি আমাদের সাহস যোগাবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের