বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী বা তাদের প্রচারকর্মীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির সংখ্যা ৫০০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।
প্রার্থীদের মধ্যে এসব অভিযোগের মধ্যে মঙ্গলবার সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন। বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনী অপরাধের দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
ইসির এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বিভিন্ন প্রার্থীকে মোট ৪৮০টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কেউ কেউ স্পষ্টতই একই অপরাধ বারবার করছিলন এবং তদনুসারে একাধিক, কিছু ক্ষেত্রে কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
৪৮০টি অভিযোগের সবগুলোই তারা নিজেরা তদন্ত করেছে বা শুরু করেছে। এর মধ্যে কমিশন ইতোমধ্যে ৩০৪টি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০১ টিরও বেশি ঘটনার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
ইসির বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭৪ জন, কুমিল্লায় ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জন, খুলনা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রামে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, বরিশালে ২৭ জন, ফরিদপুরে ২০ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী পবন যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী সদস্য বলে জানা গেছে। তবুও তিনি প্রকাশ্যে জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ এসপিসহ অন্যান্যদের গালিগালাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোনকলটির উপর ভিত্তি করে তার পরিণতি নির্ধারণ করে ইসির জুরিবোর্ড। ফোনকলটি কেবলমাত্র অশ্রবণীয়, আপত্তিকর ও অশালীন বক্তব্য এবং হুমকি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ