শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকার সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে। এই ব্যবহার হচ্ছে বেপরোয়া ও নির্বিচারভাবে। প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের সদস্য ব্যাংকগুলোর কাছে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কম্বল দাবি করা হয়েছে। ত্রাণের নামে ব্যাংকগুলোর কাছে এই কম্বল দাবি নির্বাচনী আচরণবিধির পুরোপুরি লঙ্ঘন।’
‘প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ব্যাংক মালিকগুলোর কাছে চিঠি পাঠানোর ফলে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে পারিবারিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা এর নিন্দা ও ধিক্কার জানাই,’ যোগ করেন তিনি।
তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী থেকে মন্ত্রীদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাশী যশোরের আবু বকর আবুকে জীবন্ত সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও এহছানুল হক মিলনের মতো অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।’