বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে ভারতের আন্দবাজার অনলাইনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরই গোটা বিশ্বে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই অসুখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত নিত্য নৈমিত্তিক জীবনে কিছু অনিয়ম ও অসতর্কতার কারণে ও কিছু ভুল পদক্ষেপ এই অসুখের মূল কারণ।
তারা আরও বলছেন, এই অসুখ এতই নিঃশব্দে ও ধীরে ধীরে হয় যে ধরা পড়ার আগেই শরীরের ভেতরে তা অনেকটা ক্ষতি সাধন করে ফেলে। তাই সাবধান হতে গেলে এর উপসর্গগুলো জেনে আগে থেকেই সতর্ক থাকা খুব প্রয়োজন।
তবে, ঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই অসুখ প্রাথমিক স্তরেই আটকে দিয়ে সুস্থ থাকা যায়। কিন্তু দেরি হলেই তা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।
কিডনির কাজ:
শরীরে ছাঁকনির কাজ করে কিডনি। বিপাক ক্রিয়ার পর শরীরে থেকে যাওয়া বর্জ্য ও টক্সিক পদার্থকে রক্ত থেকে ছেঁকে মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় কিডনি। তাই এটি ক্ষমতা হারালে শরীরে টক্সিক পদার্থ জমে যায়। এর সঙ্গে দূষিত পদার্থ না বের হওয়ায় শরীরে জল ও পিএইচ-এর ভারসাম্য লঙ্ঘিত হয়।
রোগের উপসর্গ:
১. বার বার মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়া এবং বার বার হালকা জ্বর আসা।
২. অল্প পরিশ্রম করলেও হাঁফিয়ে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৩. প্রস্রাবের জায়গায় হঠাৎ জ্বালা ও তার সঙ্গে রক্ত স্বল্পতা।
৪. হাত-পা-মুখে পর পর কয়েক দিন অস্বাভাবিক ফোলা।
প্রতিরোধের উপায়:
১. এই অসুখ ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন লবন। বেশি লবন বা জলযুক্ত খাবার কিডনির ওপর চাপ ফেলে।
২. ডায়াবেটিস বা রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে সে সব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা না হলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৩. ডায়েট মানার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।
৪. বছরে অন্তত একবার নিয়মিত কিডনি ফাংশন টেস্ট করিয়ে রাখতে পারেন।