নড়াইলে এ উপলক্ষে সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, কোরআনখানি এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন, সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মূর্ছনা সংগীত নিকেতন, চিত্রা থিয়েটার, যুগান্তর সাংস্কৃতিক সংগঠন, লাল বাউল, এসএম সুলতান শিশু ও চারুকারু ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
পরে শিল্পীর মাজার প্রাঙ্গনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ারুল ইসলাম, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু ও মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু।
চিত্রশিল্পে খ্যাতি হিসেবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার পান এসএম সুলতান। এছাড়া, ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান।