কারকুমিন পরিচিতি
তরকারিতে ব্যবহার করা মূল উপাদান হলুদে থাকে কারকুমিন। কারকুমিন তরকারি হলদেটে করে দেয় এবং দেহের প্রদাহ দূর, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এসব নির্মূলের সুবিধা থাকলে এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান আপনার কোনো ক্ষতি করে না এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করবে। বলা হচ্ছে, সালাদ, পাস্তা, রুটির সাথে একসাথে এর তরকারিও খাওয়া যেতে পারে। তালিকাভুক্ত উপাদানগুলোর সাথে ব্যবহারে খাবারের বাটিতে পূর্ণ শক্তি না থাকলেও এর স্বাদকে বাড়িয়ে তুলতে এর ব্যবহার করা যেতে পারে।
ওজন কমানোর সাথে কারকুমিনের সম্পর্ক
অকপটে বলতে গেলে, শাকসবজি খেলে যে ধরনের উচ্চ ফাইবার সুবিধা পাওয়া যায় সেরকম সুবিধা কারকুমিন থেকে পাওয়া যাবে না। তবে, শাকসবজির তরকারিটির পুষ্টির উপর এর কোনো বিপরীতধর্মী প্রভাব পড়বে না। ২০০৯ ইউএসডিএ কৃষি গবেষণা সেবার এক পরীক্ষায়, কারকুমিন ওজন হ্রাসের কেমন প্রভাব ফেলে তা পরীক্ষা করার জন্য একদল ইঁদুরকে কারকুমিনসহ এবং উচ্চ-চর্বিযুক্ত খাবার দেয়া হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে কারকুমিনের ভালো ফল পাওয়া গেছে। এর অর্থ এই নয় যে, আপনি যে কোনো সালাদে এটি ব্যবহার করবেন। তবে, কারকুমিন যে আপনার ফিটনেস পরিকল্পনাতে কোনো খারাপ প্রভাব ফেলবে না তা বলা যায়।
এরসাথে, ওজন কমানোর মানদণ্ডে নিয়মিত কার্ডিও, পরিমিত খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে ডায়েটের নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। আপনার তরকারি রান্না করার সময়ের দরকারি পরামর্শ হলো একে হালকা রাখার জন্য নিয়মিত নারকেলের দুধ এবং এর সাথে ননফ্যাট দই ব্যবহার করতে পারেন। এ খাবারগুলোকে আরও স্বাস্থ্যকর করার জন্য, আপনাকে মজাদার পছন্দ চর্বি ছাড়া মাংস ও মাছকে দূরে রাখতে হবে।
খাবারের জন্য কোন ধরনের তরকারি বেছে নেবেন
তরকারিকে লো-ক্যালোরির খাবারে পরিণত করার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। যা আপনাকে আপনার ওজন কমানোর ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো- শাকের সাথে ছোলা ও আলুর তরকারি যা খাবারের থালাকে হালকা রাখে। পরিমানমতো শর্করা ও শাকসবজি যে কোনো ধরনের মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তরকারি রান্নার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে ফ্যাটযুক্ত মাংস ও নারকেল দুধের খাবারের লোভ সামলানোর জন্য এসব নির্দেশনা কাজে লাগবে।
পরে আসা যাক ভেড়ার ভুনা প্রসঙ্গে। মসলার বিষয় আসলে এ খাবারের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া যাবে না। পিষে নেয়া এলাচ, সরিষা, জিরা, ধনিয়া এবং কালো মরিচের গুড়ার সাথে হলুদ দিয়ে বাসমতী চালের ভেড়ার মাংসসহ রান্না করা খাবারের জুড়ি নেই। স্বীকার করা যেতেই পারে চিনাবাদামের তেল দিয়ে রান্না করা এ খাবার আপনার অন্য ধরনের সালাদ খাওয়ার দৃঢ় বাসনা কমিয়ে দিতেই পারে। এর কাছে আপনার স্বাদ হারিয়ে গেলে আশ্চর্য হবেন না।
আপনি ভোজনরসিক না হয়েও পেটভর্তি ভারি খাবারের খোঁজ করে থাকেন তবে নারকেল দুধ ও চিনাবাদাম তরকারিটি আপনার জন্যই। অর্ধ চর্বিযুক্ত নারকেল দুধে গোপন উপাদান হিসেবে ধনিয়া, তেঁতুলের গুড়া এবং চিনাবাদামের একসাথে অসাধারণ খাবার হয়ে উঠবে। এটি হয়তো বিশ্বের স্বাস্থ্যকর খাবার হবে না, তবে আপনার ওজন কমানোর একঘেয়েমি পরিকল্পনার দিনগুলোতে একটি ভালো বিকল্প হবে।