১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সুনামগঞ্জ মহকুমায় জন্মগ্রহণ করা এই বীরের জন্ম শতবার্ষিকী পালনে নানান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শুক্রবার ওসমানীর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টির নেতারা কবর জিয়ারত করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি এদিন সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পূর্বপারের মা-কমিউনিটি সেন্টারে চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বাংলার এই বলিষ্ঠ বীর সেনানী বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদ্বয়ের অন্যতম মহানায়ক ও স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রধান সিপাহসালার ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তির সংগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাই করে নেয় বাংলাদেশ।
১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত এম এ জি ওসমানী চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাজ্যে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে শাহজালাল দরগাহ কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
ওসমানী স্মরণে ঢাকায় গড়ে ওঠেছে ‘ওসমানী উদ্যান’ ও স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
এছাড়াও তার সিলেটস্থ বাসভবনকে পরিণত করা হয়েছে জাদুঘরে এবং সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তার নামে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।